হাতিয়া, নোয়াখালী:পিতাহীন পরিবারের উপার্জনক্ষম লোক নাই বললেই চলে। উপয়ান্ত না পেয়ে মা তার ১৩ বছরের কিশোরী মেয়েকে অর্থ আর সরকারি কিছু সুবিধার বিনিময়ে স্থানীয় মহিলা মেম্বারের স্বামীর ভোগের বস্তু বানিয়ে দেয়। ঘটনাটি হঠাৎ জানাজানি হলে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড গুল্যাখালী গ্রামে। ধর্ষিত কিশোরীর নাম জেসমিন (১৩), সে গুল্যাখালী গ্রাম কাজীর বাজার এলাকার মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের মেয়ে। সে হেদায়েত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। এক ভাই ও চার বোনের মাঝে সে সবার ছোট।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত শুক্রবার (৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী জেসমিনের মা তাকে এই বলে প্রস্তুত হতে বলে যে, নেছার মেম্বার আসতেছে তুই রেডি হও। কথাটি শুনে মেয়ে ঘর থেকে পালাতে চাইলে তার মা তাকে মারপিট করে ওড়না পেচিয়ে মেরে ফেলতে উদ্যত হলে সে শো-র চিতকার করে। পরে পাশের ঘরবাড়ির থেকে লোকজন দৌড়ে এলে ঘটনার মূল রহস্য বেরিয়ে আসে। এবং স্থানীয়রা তা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে।
ভিডিওতে দেখা যায়- ভুক্তভোগী কিশোরী তার সাথে ঘটে যাওয়া পুরো ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণকৃত ভিডিওতে ধর্ষিত কিশোরীকে বলতে দেখা যাচ্ছে নেছার মেম্বার (স্থানীয় ১,২ এবং ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার নাজমা’র স্বামী) গত একমাস ধরে প্রতি রাতে তাদের ঘরে এসে তার সাথে খারাপ কাজ করে যায়। এবং এতে জোর খাটিয়ে তার গর্ভধারিণী মা তাকে নেছার মেম্বারের সাথে একরুমে প্রবেশ করে দেয়।
এতে ধর্ষক নেছারের পাহারাদার হিসেবে কাজ করে স্থানীয় শেখ মুন্সিরগো মোজাম্মেল হোসেন নামের তার এক সহযোগী। সেদিন রাতেও নেছার মেম্বার আসতেছে এই খবর দিলে ভুক্তভোগী কিশোরী অধৈর্য হয়ে তার এতোদিনের জমে থাকা যন্ত্রণা প্রকাশ্যে নিয়ে আসে। ধর্ষক নেছার স্থানীয় মমতাজ মিয়ারগো সিরাজ উল্যার ছেলে।
এদিকে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী আশরাফ, শাহজান এবং মঞ্জু সহ আরো অনেকে জানান, ঘটনাটি সত্য এবং এ বিষয়ে আমরা ইউনিয়ন পরিষদে জানিয়েছি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলামের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, এ বিষয়ে ওখানকার স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেছে, তিনি এও শুনেছেন যে- এ ঘটনার পিছনে ভুক্তভোগী মেয়ের মা মূলতঃ দোষী। ওয়েদার ভাল হলে এ ব্যাপারে কী করা যায় তিনি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।